পটুয়াখালী জেলা বিএনপি'র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন। দীর্ঘ ২৩ বছর পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গোপন ব্যালটে কাউন্সিলরদের ভোটে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
বুধবার গভীর রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল হক ফরাজী। নির্বাচন কমিশন সদস্য ছিলেন অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান ও অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন। সভাপতি পদে স্নেহাংশু পেয়েছেন ৭৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদ পান্না মিয়া পেয়েছেন ৪০২ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ছয় জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে ৪৭৪ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. বশির আহমেদ মৃধা পেয়েছেন ৪২০ ভোট। নির্বাচনে ১ হাজার ৫১১ কাউন্সিলরের মধ্যে ১১৭২ জন ভোট প্রদান করেন।
দীর্ঘ ২৩ বছর পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নেতা-কর্মী বান্ধব নেতৃত্ব বেরিয়ে এসেছে বলে আনন্দিত জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তৃতা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রথম অধিবেশন ১১টায় শুরু করা হয়। দুপুরের পর দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সন্ধ্যা ৬টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছিল। যার সভাপতি ছিলেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন স্নেহাংশু সরকার কুট্টি।
পরে ২০০৯ সালে সেই কমিটি বিলুপ্ত করে আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়াকে আহ্বায়ক করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ২০১২ সালে সম্মেলন ছাড়াই আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে পুনরায় সভাপতি এবং এম.এ. রব মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি আংশিক কমিটি গঠিত হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক করা হয় আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সদস্যসচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টিকে।
উৎসব মুখর পরিবেশে জেলা, উপজেলা ও পৌর কমিটির মোট ১৪টি ইউনিটের ১ হাজার ৫১১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১হাজার ১৭২ জন কাউন্সিলর তাদের গোপন ভোটে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :