ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫

হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-কে অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:১২ দুপুর

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারে হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম-কে অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ-এর আয়োজনে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব সম্মুখে দেড় ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ করে।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্বসাং, দুর্নীতি, শিক্ষক ও ছাত্রীদেরকে নির্যাতনের ঘটনায় ও প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম-সহ জড়িত অন্যান্যদের দ্রæত অপসারণ ও আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবীতে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম বিগত-২০১৫ সালে যোগদানের পর থেকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় নানামুখী অনিয়ম ও দুর্ণীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতন ও শিক্ষকদের হয়রানী করতে থাকেন।

বিগত ২০১৭ সালে মুন্নী নামক একজন ছাত্রীকে এতো বেশী নির্যাতন করা হয়, ক্ষুব্ধ হয়ে ঐ শিক্ষার্থীর অভিভাবক মৌলভীবাজার মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। পরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়। শাকেরা আক্তার নামে আরো এক ছাত্রীকে একই ভাবে শারিরিক নির্যাতন করেন। পরবর্তীতে সে বিদ্যালয় ত্যাগ করে চলে যায়। খাদিজা আক্তার তন্নী নামের একজন শিক্ষার্থীকে প্রচন্ড শারীরিক নির্যাতন করায় বর্তমানে সে মানষিকভাবে বিপর্যস্ত। সামান্য কারণে ছাত্রীদের গায়ে হাত, কানে ও মাথায় চড়-থাপ্পর, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যোপুরি লাথি পর্যন্ত দিয়ে থাকেন।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়- তিনি অনলাইনে বেতন গ্রহন না করে কোন রশিদ ছাড়া হাতে হাতে নগদে বেতন গ্রহন করেন। এছাড়া খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে তিনি তার একক ক্ষমতাবলে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করেন। এ সকল খন্ডকালীন শিক্ষক প্রায় স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। এসব কারণে বিভিন্ন বোর্ড ও অভ্যন্তরীন পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের রেজাল্ট ক্রমশ নি¤œমুখী হচ্ছে। অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক রাশেদা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে তাকে দ্রæত অপসারণের দাবী জানান।

আন্দোলনে অবস্থানরত ছাত্রীরা মানববন্ধনে বাঁধা প্রদানকারী ও প্রকাশ্য ছাত্রীদের গায়ে হাত দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতনকারী খন্ডকালীন শিক্ষক আবুল কালাম ও আব্দুল হামিদ জুয়েল-কে গ্রেফতার এর দাবীসহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

 

Link copied!