যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ০২:৫৪ দুপুর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে নিজের ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে যৌন হয়রানি ও অশ্লিল প্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে বিভাগটির শিক্ষক অধ্যাপক প্রভাস কুমারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন করেছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন করেন তারা। 

এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সার্বিক নিরাপত্তা, শারীরিক ও মানসিক সুরক্ষা, নির্যাতনকারী শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার এবং দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় বিচার করাসহ ১১ দফা দাবি জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী। 

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিসা নাওয়াল নেহা বলেন, এক নারী শিক্ষার্থী যদি বিভাগের শিক্ষকের কাছে নিরাপদ না থাকে তাহলে কোথায় থাকবে? আমরা যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষকের বহিষ্কার চাই যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে। 

মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন বলেন, আমরা এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছিলাম যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের মতো নিরাপদে থাকতে পারবে। তা তা দেখতে পাচ্ছি না। বরং শিক্ষরাই নারী শিক্ষার্থীদের সাথে যৌন নির্যাতনের মতো জঘন্য কাজ করছে। যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আজকে এখানে এসেছি। আমরা যখন রাজপথে দাঁড়িয়েছি তখন দাবি আদায় না করে রাজপথ ছেড়ে দেবো না।

শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা জানিয়ে
পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক পাপিয়া সুলতানা বলেন, আজকে আমি শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত। এ ঘটনা আমাদের শিক্ষক সমাজের জন্য কাম্য নয় । যেকোনো যৌক্তিক বিষয়ে পরিসংখ্যান বিভাগ সবসময় সচেতন থাকে। 

আমাদের স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং কমিটি আছে। এই বিষয়টা আমাদের কাছে অভিযোগ আসায় তাৎক্ষণিকভাবে আমরা একটি কমিটি গঠন করি। সেই কমিটি তদন্ত করে এটি প্রমাণিত হয়েছে এই শিক্ষক সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট এবং অ্যাকাডেমিক ক্রাইমের সাথে জড়িত। অনতিবিলম্ব আমরা তার সর্বস্ব শাস্তি কামনা করছি।

নির্যাতনকারী যেন কোনোভাবেই প্রাতিষ্ঠানিক বা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পালিয়ে যেতে বা শান্তি এড়িয়ে যেতে না পারে, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দৃঢ় ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

Link copied!