টঙ্গীর কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে গিয়ে দগ্ধ হয়ে শহীদ হন ফায়ারফাইটার নুরুল হুদা। দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করলেও তিনি নিজের নবজাতকের মুখ দেখতে পারেননি। তার মৃত্যুর ১২ দিন পর, সোমবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
পৃথিবীর আলো দেখলেও এই অগ্নি নির্বাপক যোদ্ধার সন্তানের কপালে বাবাকে দেখার সৌভাগ্য আর হলো না। সোমবার (৬ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শহীদ ফায়ারফাইটার নুরুল হুদার সন্তান জন্ম নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকায় একটি কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিনির্বাপণে নিয়োজিত হয়ে গুরুতর দগ্ধ হন ফায়ারফাইটার নুরুল হুদা। পরে গুরুতর অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ২টা ৪০ মিনিটে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এ ঘটনায় ফায়ারফাইটার শামীম আহমেদ ও ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমও মৃত্যুবরণ করেন।
ফায়ার ফাইটার মো. নূরুল হুদা ১৯৮৭ সালের ২১ জুলাই ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ধামাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ফায়ার ফাইটার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। নতুন সদ্যোজাত পুত্র সন্তান ছাড়াও ফায়ারফাইটার নুরুল হুদার ১০ বছরের একটি কন্যা ও ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :