ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বিমান থেকে ২৫ টন খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী ফেলেছে। রোববার (২৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে জর্ডানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
খবরে বলা হয়, জর্ডানের রয়েল এয়ার ফোর্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি কার্গো বিমান যৌথভাবে এই সহায়তা মিশনে অংশ নেয়। জর্ডানের সি-১৩০ মডেলের দুটি বিমান এবং আমিরাতের একটি বিমান গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে খাবার ও জরুরি ত্রাণ সামগ্রী ফেলে দেয়।
জর্ডানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১২৭ বার আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ করা হয়েছে। এই মানবিক তৎপরতা অবরুদ্ধ গাজার ক্ষুধার্ত ও বিপন্ন মানুষের জন্য সহায়তা পৌঁছানোর অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল ঘোষিত ‘কৌশলগত বিরতি’ নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইসরায়েল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ ও গাজা সিটির নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় এ বিরতি কার্যকর রাখার কথা জানিয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এতে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের সুবিধা হবে।
তবে ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
এর আগের দিন শনিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৭১ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ৪২ জনই ছিলেন ত্রাণের আশায় জড়ো হওয়া অসহায় মানুষ। এমন বাস্তবতায় ‘কৌশলগত বিরতি’ আদৌ কার্যকর হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে আন্তর্জাতিক মহলে।
গাজায় বর্তমানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়, খাদ্য সংকট ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে সাধারণ মানুষ চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান সত্ত্বেও সেখানে সহিংসতা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :