জুলাই, পিলখানা ও শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে ‘শহীদি সমাবেশ’ থেকে চার দফা দাবি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে এই সমাবেশ চলে।
চার দফা দাবি হলো --
১. সরকারকে আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে প্রথমে নির্বাহী আদেশে, তারপরে আদালতের মাধ্যমে এবং সবশেষে রাজনৈতিক সমঝোতায় সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. শাপলা গণহত্যার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রকৃত শহীদদের তালিকা প্রকাশ করে অবিলিম্বে এই গণহত্যার বিচার শুরু করতে হবে।
৩. পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা উল্লেখ থাকতে হবে।
এইসব দাবিতে আগামী ১০০ দিন ৬৪ জেলায় গণসংযোগ করবে ইনকিলাব মঞ্চ। যদি এই সময়ের মধ্যে সরকার কার্যকর কোনো ভূমিকা গ্রহণ না করে তাহলে আগামী ৫ অগাস্ট শাহবাগ থেকে ‘মার্চ ফর বাংলাদেশে’ কর্মসূচি থেকে সচিবালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
এই সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, শহীদদের বিচার না করে ভিন্ন কিছু ভাবলে এ রক্তের দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বয়ে বেড়াতে হবে।
ভারতে অবস্থারত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেয়া পর্যন্ত দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না বলে মন্তব্য করেন এনসিপির এ নেতা। তিনি বলেছেন, ভারত যদি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়, তাহলে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ করে সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই দেশে অন্য কোনও কিছুই প্রাসঙ্গিক হতে পারে না।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে আগামী তিনটা নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :