সাভারস্থ রানা প্লাজার স্মৃতিস্তম্ভে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে রানা প্লাজার শ্রমিক হত্যার ১২ বছর উপলক্ষে রানা প্লাজার স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পমাল্য অর্পন।
শ্রদ্ধাঞ্জলিতে রানা প্লাজার আহত শ্রমিক নিলুফা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতানা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক ও নারী কমিটির সভাপতি রোজিনা আক্তার সুমি, দপ্তর সম্পাদক ও নারী কমিটির সাধারন সম্পাদক আমরিন হোসাইন এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ শেখ, প্রচার সম্পাদক মোঃ তাহেরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কার্যকরি সদস্য সেলিনা হোসাইন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন ১৯৯০ সালে মিরপুরের সারাকা গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডের মধ্যে দিয়ে জীবিকার জন্য জীবন হারানোর যে মিছিল শুরু হয়ে ছিল, বিচারহীনতা আর দায়িত্বহীনতার কারণে তা অব্যাহত ভাবে চলছিল। ২০১২ সালে তাজরিন অগ্নিকান্ড ১১২ জনের মৃত্যু, তার কয়েক মাস পরে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে মূহুর্তে ১১৩৬ জন শ্রমিকের দেহ লাশে পরিণত হওয়ার মত ঘটনার পরে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ভুমিকা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম।
রানা প্লাজার নির্মম ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজারো শ্রমিকের আত্মত্যাগ কখনোই বৃথা যেতে পারে না। দীর্ঘ ১২ বছরেও হয়নি দায়িদের শাস্তি, শ্রম আইনের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিধানে হয়নি কাঙ্খিত পরিবর্তন। এখনো প্রতি বছর জীবিকার জন্য এসে জীবন হারাচ্ছে প্রায় সহ¯্রাধিক শ্রমিক, অসহায় হচ্ছে নির্ভরশীল পরিবার, কিংবা শ্রমিক নিজেই পঙ্গুত্ব বরণ করে হয়ে উঠছে সমাজের বোঝা। এই অবস্থায় কর্মক্ষেত্রে অবহেলাজনিত মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্থদের আজীবন আয়ের মানদন্ডে ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও এবং নিহতের পরিবার ও আহতদের পুর্নবার্সনের ব্যবস্থ করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :